স্টাফ রিপোর্টার : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
১৫ আগষ্ট শনিবার সকালে বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শোক র্যালি উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় প্রেসক্লাব কার্যালয় প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয় এবং পরবর্তীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচানা সভা শুরুর আগে শহীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। প্রেসক্লাবের আহবায়ক আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে ও সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক নবীন সোহেলের পরিচালনায় শোকসভায় বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট কলামিষ্ট এ এইচ এম ফিরোজ আলী, সাবেক সভাপতি মোসাদ্দিক হোসেন সাজুল, জাহাঙ্গীর আলম খায়ের, সহ-সভাপতি এমআর টুনু তালুকদার, নির্বাহী সদস্য কামাল মুন্না ও দপ্তর সম্পাদক শুকরান আহমদ রানা।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি আশিক আলী, প্রচার সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন, সদস্য আব্দুস সালাম ও শিক্ষানবিশ সদস্য দিলোয়ার হোসেন মামুন।
সভায় বক্তারা বলেছেন, ১৯৭১ ও ১৯৭৫ সালের খুনিরা এখনও সক্রিয়। তারা বিভিন্ন কৌশলে দেশ বিরুধী কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীরা সচেতন না হলে এক সময় তাদের পক্ষে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যাবে। বর্তমান সময়ে স্বাধীনতা বিরুধীরা তাদের স্বরুপ পাল্টে আওয়ামীলীগের ছায়াতলে এসে আশ্রয় নিয়েছে। সুযোগ পেলেই বিষদর সাপের মত ছোবল মারবে। তাই কলম সৈনিকরা এদেরকে খুজে বের করে তাদের মুখোশ উন্নোচন করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা আল বদর, আসসামস্ ও রাজাকারদের তালিকা তৈরী করা হয়নি। তারা অবিলম্বে অঞ্চল ভিত্তিক রাজাকারদের তালিকা ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরী করে জাতির সামনে প্রকাশের দাবি জানান।